ভ্রমণ : Vromon

ভ্রমণ
                       

                       ভ্রমণ : Vromon

ভ্রমণ হচ্ছে মানুষের  এক অনন্য প্রেম, ভ্রমণ
কথাটি শোনার পর আমাদের মন ওড়ু ওড়ু হয়ে যায়, দূরে কোথাও বেড়ানো বা হারিয়ে যাওয়া,
আমার মতে ভ্রমণ  যেখানে  যে কোন কোথাও
হতে পারে, দুই পাশে ধান খেত মাঝে চওড়া মেঠো পথ, রাস্তার পাশে অনন্য তাল গাছের সারি যতোদূর চোখ যায়, নীল মেঘের আড়ালে সূর্য  উঁকি দেয় দিনের শেষের  অস্তো যাওয়ার আগের
মহূর্তে, রক্তের মতো লাল আভা এসে ধান খেতের সবুজ রঙ কে সোনালী আভার সৃষ্টি  করছে, দেখলে মন জুড়িয়ে  যায়, এই চোখ  জুড়িয়ে যাওয়া দৃশ্য কে ভ্রমণ  বলে, কেন বলছি এ কথা যদি বলেন, তাহলে বলবো এমন দৃশ্য  আবার সব জায়গায় দেখা যায়না এর জন্য প্রকৃতি কিছু নির্দিষ্ট জায়গা  ঠিক করে রেখেছে যেখানে প্রকৃতি তার নিজের  মতো সেজেছে এই মন মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে আমরা কখনো দেশে কখনো বিদেশে ভ্রমণ করিয়া থাকি, এই ঘুরে বেড়ানোকে আমরা ভ্রমণ  বলি, দেশের বাইরে  ভ্রমণ  করতে গেলে অনেক পয়াসার দরকার হয় তার জন্য কর্ম করতে হয়, কর্মযোগ  নিয়ে আরো আরেক দিন বলবো, আজ বলবো ভ্রমণ নিয়ে, ভ্রমণ করার জন্য প্রকৃতির প্রতি প্রেম থাকতে হবে, আমার ধারণা  প্রকৃতির প্রতি প্রেম মানুষের  জন্মগত অধিকার এই প্রেম মানুষের নাড়ির টানের সম্পর্ক এ যাবেনা কঠোর  ও নিঠুর মানুষও প্রকৃতি কে ভালোবাসে, তাই এই টান মানুষের  কোনোদিন  যাবেনা আর ভ্রমণ বন্ধ হবেনা, দেশের ভিতরেও অনেক জায়গা আছে যেখানে আমরা কম খরচে ভ্রমণ করে আসতে পারি, বিষেস করে আমাদের  মন যদি ভ্রমণ পিপাসু হয়। এক ঘেয়েমি জীবন কে দূরে সরিয়ে  রেখে মাঝে  মাঝেই দূরে  কোথাও  উড়ে যেতে ইচ্ছে করে, ভ্রমণ করতে ইচ্ছে করে ।  ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য কিছু জায়গার নাম ও ঠিকানা দিলাম,  

ভ্রমণ
গ্যাংটক


গ্যাংটক
 গ্যাংটক  ৫,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিকিমের।

রাজধানী শহর গ্যাংটক আধুনিক এক পাহাড়ি
শহর। হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাফেটেরিয়া, শপিং
মল, দোকানপাট— সব মিলিয়ে এক জমজমাট শহর। রকমারি বিনোদনের ব্যবস্থা যেমন আছে, ভরপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে পর্যটকদের। ক্যাসিনোর হরেক রোমাঞ্চকর খেলায় (রুলেট, স্লট মেশিন, ফ্লাশ
ইত্যাদি) কুঁদ হতে পারেন ইচ্ছে করলেই। মে ফেয়ার’ ও ‘রয়েল প্লাজা’ এই দুটি হোটেলে রয়েছে ক্যাসিনো এবং সেগুলো খোলা থাকে দুপুর ২টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত। আর ছাঙ্গু-নাথুলা-বাবা মন্দির সফরে।
মাথাপিছু ভাড়া পড়বে ৮০০-১,০০০ টাকা ।
তবে সিজন ভেদে ভাড়ার তারতম্য হয় এই সফরে।
কীভাবে যাবেন
শিয়ালদা, হাওড়া কিংবা কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়া উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন ধরে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসুন ১২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী গ্যাংটকে। পুরা গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৩,০০০-৩,৫০০ টাকা (ছোট গাড়ি), আর সুরে, ইনোভা। ইত্যাদি বড় গাড়ি নিলে ভাড়া ৩,৫০০ ৪,০০০ টাকা। সময় লাগবে ৩-৪ ঘণ্টা। ধর্মতলা থেকে ছাড়া বাস কিংবা বিমানে গেলে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়ি হয়ে চলে আসতে পারেন গ্যাংটকে। গাড়ি ভাড়া মোটামুটি একই পড়বে। তবে কম
খরচে আসতে চাইলে শিলিগুড়ি এস এন টি বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়া গ্যাংটক গামী বাস কিংবা শেয়ার জীপ ধরে চলে আসতে পারেন গ্যাংটক। বাসে মাথাপিছু ভাড়া ১২০ গ্যাংটক সাইট সিয়িং করতে খরচ পড়বে।
টাকা। শেয়ার জিপে পড়বে ৩০০ -৪০০ টাকা।।
২,৫০০-৩,০০০ টাকা (পুরাে গাড়ি রিজার্ভ সিমলা, 

ভ্রমণ
সিমলা

সিমলা 

সিমলা দিয়েই শুরু হতে পারে হিমাচল ভ্রমণ। সিমলার কাছাকাছি ছড়িয়ে আছে। অপূর্ব সব হিমাচল গ্রাম। অধিকাংশ পর্যটক। সারাদিনের সফরে দেখে নিন চেইল, কুফরি, ফাগুন, মাসে ব্রা, ননদেরা। আবার এসব। জায়গা থেকে বাছাই করা কয়েকটি রাত কোথাও কাটাতে পারলে সে-ভ্রমণে আলাদা আনন্দ। সিমলা থেকে নানা দিকেই এগিয়ে যাওয়া যায়। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন। তারা ঘুরে নিতে পারেন পব্বর ভ্যালি। কুলু মানালি-রোটাং পাস এক চিরকালীন ভ্রমণ, একটু অচেনা-সন্ধানীরা এই পথেই একটা রাত
জগৎসুখ বা নগ্নর বা মণিকরণে কাটাতে পারেন। যাদের একটু লম্বা যাত্রার ধকলে আপত্তি নেই, তারা এগিয়ে যাবেন সারাহান, বাংলা, কলার দিকে। যারা ধর্মতলা, চাম্বা, ডালহৌসি যাবেন, তারা বেড়ানো শুরু করুন।
পাঠানকোটে নেমে সিমলা থেকে চলে যেতে পারেন - অন্যান্য জায়গার নাম -বারোগ, চেইল, কুফরি ও ফাগু, মাতিয়ানা,মাসোব্রা, নলদেরা, সোজা, কুলু, মানালি, সারাহান, সাংলা ও ছিটকুল, কল্পা, নাকো, টাবো, কাজা, কেলং, পব্বর ভ্যালি, খাড়াপাথর, পালাম পুর, ধরমশালা, চাম্বা, ডালহৌসি, খাজিয়ার,
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে ১২৩১১ কালকা মেল সন্ধে ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে তৃতীয় দিন ভোর সাড়ে ৪টায় কালকা পৌঁছায়। ৫২৪৫৩ সিমলা এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় কালকা ছেড়ে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে পৌঁছায় সিমলা। কালকা
থেকে ৯১ কিলোমিটার ও চন্ডিগড় থেকে ১২০ কিলোমিটার সড়ক পথে গাড়ি কিংবা বাসে চলে আসতে পারেন। রাজ্য পরিবহণের। বাস ছাড়ে সিমলা আসার। প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করেও চলে আসতে পারেন। তবে সমগ্র হিমাচল ভ্রমণ বাসের উপর ভরসা না করে।
গাড়ি ভাড়া করাই শ্রেয়। ছােট গাড়ি ভাড়া পড়বে দৈনিক ২,২০০-২,৫০০ টাকা, সুমান। জাতীয় গাড়ি ২,৮০০-৩,০০০ টাকা, ইনোভা বা জাইলা ৩,৫০০ টাকা, টেম্পার ট্র্যাভেরা। ৪,০০০-৪,৫০০ টাকা তবে কিলােমিটার কমবেশির ওপরে গাড়িভাড়াও ওঠা-নামা করে।

ভ্রমণ
কেরালা

কেরালা

ইশ্বরের আপন দেশ কেরালা। মানচিত্র রাজ্যটিকে দেখতে লাগে আরব সাগরের কোল ঘেঁষে লম্বা একটা ফালির মতো। এ রাজ্যে পা রাখার পর থেকেই আলাপুঝা কোল্লামের ব্যাক ওয়াটার, কোভালাম
ভারকালা-চেরাই-কাপ্লাডের সমুদ্র সৈকত, অষ্টমুড়ি-ভেম্বনাদ নামের দুই লেক, মুন্নার পানছড়ি যুগল শৈল শহর নিয়ে কেরল। পর্যটককে মোহিত করে রাখে।
কেরল ঘুরতে হাতে রাখুন ৮-৯ দিন। শুরু করুন কোচিন ও তার দোসর শহর এর্নাকুলাম দিয়ে, থাকুন দু’দিন। কোচিন থেকে বাসে বা গাড়িতে চলুন মুন্নার। দু’দিনে মুন্নার আর তার আশেপাশে দেখে নিতে পারেন। পরবর্তী। গন্তব্য হোক পেরিয়ার। এরপর কোভালাম ও
তিরুবনন্তপুরম। ভারকালা হয়ে চলে যান কুইলন বা কোল্লাম। তারপর জলপথে চলুন। প্রাচ্যের ভেনিস আলেপ্পি বা আলাপুঝা। এক্ষেত্রে যাত্রা শেষ হবে আলেপ্পি থেকে ফের কোচিন পৌঁছে। অথবা ভ্রমনসূচী একটু। রদবদল করে পেরিয়ার-আলেপ্পি-কুইলন
ভারকালা হয়ে কোভালাম ও তিরুবনন্তপুরম
এসেও শেষ করতে পারেন আপনার কেরল ভ্রমণ চক্র। অন্যান্য জায়গার নাম- কোচিন - এর্নাকুলাম, মুন্নার, পেরিয়ার, কোভালম ও তিরুবনন্তপুরম, ভারকালা, আলপ্পি,
কীভাবে যাবেন
শালিমার থেকে প্রতি রবি ও মঙ্গলবার ছেড়ে এরনাকুলাম জংশন যাচ্ছে ২২৬৪২ ত্রিবান্দম। এক্সপ্রেস আর প্রতি বুধবার ছেড়ে এর্নাকুলাম টাউন যাচ্ছে ১২৬৬০ গুরুদেব এক্সপ্রেস। এছাড়া বৃহস্পতিবার হাওড়া থেকে পাবেন ১২৫১৬ শিলচর-ত্রিবান্দ্রম এক্সপ্রেস ও শনিবার পাবেন ১২৫০৮ শিলচর-ত্রিবান্দ্রম।
এক্সপ্রেস। দুটি ট্রেন এর্নাকুলাম টাউন থামে। টাউন ও জংশন স্টেশন দুটি ৩ কিলোমিটার। দূরত্বের, যাতায়াতের অটো পাওয়া যায়।

কেরালা ভ্রমণ 

Life History.....................  

No comments:

Powered by Blogger.